ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সদ্য সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে প্রায় আড়াই বছরের রেস্ট হাউসের ভাড়া পাওনা বাকি রয়েছে। সম্প্রতি পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে সাবেক কোষাধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট দপ্তর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগটির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, কমিটিতে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন— আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, কোষাধ্যক্ষ থাকাকালীন রেস্ট হাউসের ৩০৩ নম্বর কক্ষটি ২১ সালের অক্টোবর থেকে ২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৪ দিন আপনার দখলে ছিল। এর মধ্যে ১২৪ দিন আপনার অনুমতিক্রমে আসা অতিথিরা অবস্থান করেছেন এবং এর বিপরীতে ভাড়া পরিশোধ হয়েছে। অতএব, ৮৯০ দিনের ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পরিষদের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
প্রশাসনের চিঠির জবাবে ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া পাল্টা চিঠি দেন। তাতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত গোপনীয় কাজ করার জন্য প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে একটি কক্ষ উপ-উপাচার্য এবং একটি কক্ষ কোষাধ্যক্ষকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। সে মোতাবেক ১৮ দিন কক্ষটি তাঁরা ব্যবহার করেছেন। দুজন মিলে কক্ষটি ব্যবহার করলেও শুধু তাঁর নামে বিল দাখিল করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী দৈনিক মূলধারাকে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি।’