দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়ছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে ধরাশায়ী হওয়ার পর এবারের আসর থেকে ছিটকে পড়ল থ্রি-লায়নসরা। চলতি আসরে ৩ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়না বাটলাররা। ফলে প্রিয় দল ইংল্যান্ডের উল্লাসমুখর মুহূর্ত দেখার সুযোগ হয়নি ইংল্যান্ড সমর্থকদের।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারকার আসর শুরু হওয়ার আগে থেকেই ছন্নছাড়া ক্রিকেট খেলছেন ইংলিশরা। আসর শুরুর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের সঙ্গে তিনটি ওডিআই ম্যাচের আয়োজন করেন তারা। যদিও সেখানেও কোনো জয়ের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড দল। সবশেষ টানা সাতটি একদিনের ম্যাচে তাদের কোনো জয় নেই!

২০১৯ সালের পর বৈশ্বিক কোনো আসরেই আলো ছড়াতে পারছেন না ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা। ’২২ সালের টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া আর কোনো আসরেই ইংল্যান্ডকে জ্বলে উঠতে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। সেই বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই যেন দেখা গেল এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরে!
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৫২ রানের লম্বা টার্গেট দেওয়ার পরও কেবল বোলারদের দায়িত্বহীনতার কারণে জয় অধরা থেকে যায় ইংলিশদের। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যার্থতার কারণে পরাজয় ঘটলে টুর্নামেন্ট থেকে তারা কার্যত ছিটকে পড়ে।

নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে গতকাল মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার, কিন্তু সেই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৯ রানে। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় আফ্রিকা। ফলে শূন্য হাতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর শেষ করতে হলো ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমকে।
টানা তিন তিনটি ম্যাচ হেরে তলানীতে থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম। চলতি আসরে ৮টি দল অংশ নেয়, যেখানে ইংল্যান্ডের আসর শেষ হলো সবার শেষে, তথা ৮ নাম্বারে থেকেই । অবশ্য এই ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটের দায়িত্বও ছাড়লেন ক্যাপ্টেন জশ বাটলার!
‘লম্বা রেসের ঘোড়া ইংল্যান্ড’ ক্রিকেট টিমের এই দুরবস্থা ক্রিকেটভক্তদের স্বভাবতই ভাবিয়ে তুলছে। আর তাই বাজে অবস্থা কাটিয়ে ইংলিশরা কবে স্বাভাবিক খেলা উপহার দেবেন ভক্ত-সমর্থকদের, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।