মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কবরস্থান থেকে ৫ টি লাশের মাথার খুলি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে এলাকার মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রণজিৎ সাহা ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) ভোরে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি কবরস্থানে থেকে লাশ চুরির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দাফনকৃত লাশের স্বজনরা ছুটে এসে কবরস্থানে জড়ো হয়। এর আগে শুক্রবার (৭ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় লাশের মাথার খুলি চুরির এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতনি কবরস্থানে ৫-৬টি কবর খোড়া অবস্থায় আছে। এর মধ্যে হাতনী গ্রামের আওলাদ হোসেনের মেয়ের লাশের হাড়গোড় তার কবরে থাকলেও মাথার খুলি পাওয়া যায়নি। কবরগুলো খুড়ে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে রেখে গেছে। এক কবরে প্রায় ৪-৫ টি কাপনের কাপড় ও হাড়গোড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই লাশগুলো চুরি হয়েছে।
স্থানীয় আওলাদ হোসেন জানান, তার মেয়ে ২ মাস আগে মারা যান। মাত্র ১২ বছর বয়সের মেয়ে কারো ক্ষতি করেনি। ভোরে খবর পাই, কবরস্থান থেকে লাশ চুরি হয়েছে। এখানে ছুটে এসে দেখতে পাই, মেয়ের কবর খোঁড়া। ভেতরেই কাফনের কাপড়, শরীরের অংশ পড়ে আছে। মাথা চোরেরা নিয়ে গেছে।

মো. নবিনুর ইসলাম বলেন, আমার বাবা ৭ মাস আগে মারা গেছেন । আজ সকালে লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি, আমার বাবার কবরের বাশ ওপরে রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কবরের ভিতরে আমার বাবার লাশও হইতো নেই।
হাতনী কবরস্থান কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত ও দেখাশুনা করতে আসি। সকালে কবরস্থানে ঢুকতেই দেখি একটি কবর খোঁড়া। আশপাশে তাকিয়ে দেখি, একে একে আরো কবরের মাটি, বাশ এলোমেলো। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই। এই চুরি এলাকায় আতঙ্ক তৈরী হয়েছে।
এ ঘটনায় শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রণজিৎ সাহা বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে সংগীয় ফোর্সসহ পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।