ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শীতকে শুধু উষ্ণতার চাদর, খেজুরের রস, হাড় কাঁপানো শীত ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং বাঙালির শিল্পকর্ম, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে কুহেলিকা উৎসবের মাধ্যমে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’– এর উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপি ‘কুহেলিকা উৎসব–১৪৩১’ উৎসবের এই আয়োজন করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়ে আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়।
এই আয়োজনে ৪৫টি বৈচিত্র্যময় স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে নান্দনিকতার আঁচড়ে তাদের স্টল সাজান। যার প্রতিটিই প্রাণ সঞ্চারিত হয় বাঙালির বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরার মাধ্যমে। আয়োজনটি আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সমাগমে। কোমলমতি শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাই এই আয়োজনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। আগত দর্শনার্থীরা বাহারি পিঠার স্বাদ, ঐতিহ্যবাহী কাপড় কেনা, বাঙালি সংস্কৃতির গান শোনা, কেউবা নিজেকে ফটোবন্দির জন্য এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সংগীত কুমার বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও কুহেলিকা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীল প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পায়।’
অভয়ারণ্যের সভাপতি নাঈমুল ফারাবি বলেন, ‘এই উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সৃজনশীলতা বহিঃপ্রকাশের সুযোগ পায়। এটি শুধু বিনোদনের নয়; বরং নবীন শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি মঞ্চ, যেখানে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা ও দক্ষতা তুলে ধরতে পারেন।’