মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জুবায়েরপন্থীরা এক যোগে তিনটি মসজিদে ঢুকে সাদপন্থী তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাদপন্থীর উপজেলা তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার সহ কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ থেকে ৯ মধ্যে উপজেলার জয়মন্টপ-ভাকুম মাষ্টার পাড়া বায়তুর রহমান জামে মসজিদ, খান বানিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সিংগাইর সদর (মারকাজ) বাইতুল মামুর জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে । হামলাকারী ২০ থেকে ২৫ জনের দলটি জুবায়ের পন্থী ও হেফাজত ইসলামের কর্মী সমর্থক বলে দাবী করেছেন আহত সাদপন্থীরা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলার নেতৃত্বে থাকা মাওলানা আশরাফুল ইসলাম , আলমগীর হোসেন, মুফতি আব্দুল্লাহ, মাওলানা হোসেন, ফিরোজ খান, কাঠমিস্ত্রি মিজান, ফজল ও আমিনুরকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাবলীগের বিশ্ব টঙ্গী ইজতেমা ময়দান থেকে সিংগাইর উপজেলার ৪টি মসজিদে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য আসেন তারা। গত মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে তারা ইসলামের কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান। বুধবার সকালে জুবায়ের পন্থীরা তিনটি মসজিদে ঢুকে তাদের উপর হামলা চালায়। সেই সঙ্গে বেধড়ক মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উপজেলার তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার মোঃ আমিরুল ইসলাম সহ কমপক্ষে ৯ জন আহত হন। অন্য আহতরা হচ্ছেন – মাওলানা বশির উদ্দিন, মাহবুব, আলামিন, আমিনুল ইসলাম, মো: কবির হোসেন খান, নাঈম ও নিজামুদ্দিন।
আহতদের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে সাদ পন্থী মুসল্লিরা জানান। আহতদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত জুবায়ের পন্থীর পক্ষ থেকে মাওলানা আশরাফুল ইসলাম হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যতটুকু শুনেছি এলাকার মুসল্লিরা তাদের মসজিদে থাকতে দিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যাস্ত থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।