যশোরে দিনে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী আনজুম সিপার রুদ্রকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। দুপুর তিনটার দিকে যশোরের রেলগেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দুর্বৃত্তরা রুদ্রকে ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে আহত করে সরে পড়ে দুস্কৃতিকারীরা। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী রুদ্রকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহতের দাবি, যশোরের ষষ্ঠীতলা পাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে নাইস, আব্দুল খালেকের ছেলে মনিরুল, রুবেলসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জন পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটায়। তারা এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।
অভিযোগ রয়েছে, নাইস ও মনিরুলের নামে পূর্বে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাদের আধিপত্য বিস্তারে ষষ্ঠীতলা পাড়া এলাকাবাসী ও যশোর জিলা স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অতিষ্ঠ। এছাড়া তারা যশোর নিরালা রোডে মাদক ও অস্ত্র কারবারের সাথে জড়িত, যার মাধ্যমে তারা ঐ এলাকায় পরিচালনা করে আসছে এক ত্রাসের রাজত্ব।
এ ব্যাপারে রুদ্র নিজেই বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘রুদ্র মেধাবী একজন মেধাবী ছাত্র এবং সংগীতশিল্পী। আহত রুদ্র আমাদের সাথে চলাফেরা করেন ’
অবশ্য অভিযুক্ত নাইস তার একটি ফেসবুক পোস্টে রুদ্রকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য এবং নিজেকে ছাত্রদলের একজন কর্মী বলে দাবি করেন। যদিও এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানা যায়, রুদ্র বিগত ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।