বিয়ের প্রলোভনে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে রিসোর্টে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুসের মালিকানাধীন সায়ান রিসোর্টে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন থানায়।
শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার এজাহারভূক্ত আসামি কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, উপজেলার গোবিন্দল ( ধাইরাপাড়া) গ্রামের আলী আকবরের ছেলে সালমান তারিক ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভনে গত বছরের ১১ আগস্ট রাতে সায়ান রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করে। এর আগে ১৪ এপ্রিল অভিযুক্ত সালমান তারিকের সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে গড়ে ওঠে প্রেম-ভালবাসা। বিভিন্ন সময় সালমান তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সাভার এলাকায় ঘুরাঘুরির ছলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ সায়ান রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণ করার পর ভিকটিম বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সালমান টালবাহানা করলে বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিয়ের দাবীতে তার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এতে সালমান তারিকসহ তার মা জুলেখা ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম ভিকটিমকে বেধড়ক মারধর করে। সেই সঙ্গে তার অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ তারপর থেকে ঘটনার মূল হোতা সালমান তারিক আত্মগোপনে রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত সালমান তারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার এসআই মো. ফজলুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল সায়ান রিসোর্টে গিয়ে খসড়া মানচিত্র তৈরী করেছি। আগামী সোমবারের মধ্যে কর্তৃপক্ষ রিসোর্টের কক্ষ ভাড়া দেয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিবেন।‘ আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সায়ান রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, ‘অভিযোগটি সত্য না। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত আমাদের রিসোর্ট পুরোপুরি বন্ধ ছিল । সেই হিসেবে এটা সঠিক না, উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এর আগেও একদিন আমাকে ওই রিসোর্টে নিয়ে গিয়েছিল। সেদিন জেনারেটরে আগুন লাগায় আমরা ফিরে আসি। পরবর্তীতে ১১ আগস্ট পুনরায় ওই রিসোর্টে গিয়ে রাত্রি যাপন করে সকালে চলে আসি ।’