বর্তমান বিশ্বে মাদকাসক্তি একধরনের অভিশাপস্বরূপ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য। আজকের তরুণরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ, তরুণদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশের ভাগ্যগাথা। কিন্তু সেই তরুণ প্রজন্মই যদি মাদকের ভয়াল থাবার শিকার হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে। ভবিষ্যতে সুজলা-সুফলা সোনার বাংলা বিনির্মাণে আজকের তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখার কোনো বিকল্প নেই।
মূলত তরুণ বয়সেই ছেলেমেয়েরা মাদকের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দূরে রাখার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে খেলাধুলা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই মানুষের খেলাধুলার প্রতি প্রবল ঝোঁক থাকে। কিন্তু তার পরবর্তী বয়সে এসে তরুণ সমাজের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ দিনের পর দিন লোপ পেতে থাকে। ফলে অনেকে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয় আবার অনেকে ঢুকে পড়ে মাদকের অন্ধকার জগতে।
নিয়মিত খেলাধুলা করলে শরীর ও মন উভয়ই ভালো থাকে। অনেক সময় দেখা যায় ডিপ্রেশন থেকে মানুষ মাদকের শরণাপন্ন হয়। আর এই ডিপ্রেশন কাটানোর মহৌষধ হলো খেলাধুলা। বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়মিত খেলাধুলা করলে ডিপ্রেশনে ভোগার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়, ফলে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।
তাই তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে তাদেরকে আমাদের খেলাধুলার দিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবে বর্তমান সময়ে অধিক হারে খেলাধুলার মাঠের অপ্রতুলতা এই পথের অনেক বড় একটি বাধা। তাই শিশু, কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলা করার জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রসহ রাষ্ট্রের সব স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক থেকে তরুণ সমাজকে দূরে রাখতে সরকারকে এ দেশের গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়, শহরাঞ্চলে অধিক পরিমাণে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজকের তরুণদের হাতেই আগামীদিনের আশার মশাল। তাই তরুণকে সব সময় থাকতে হবে প্রাণবন্ত, উজ্জীবিত ও মাদকমুক্ত।
লেখক : শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ