ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে বিভাগ ত্যাগে শিক্ষার্থীরা বাধ্য করেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রশাসন ভবন ত্যাগের চেষ্টা করলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে তিনি নিজ বিভাগে আশ্রয় নেন।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন— শহীদুলের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; দালালদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং এখনও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ‘জয় বাংলা’ বলবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকরা এখনো কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান? শহীদুল ইসলাম এখনও তার বিভাগের সভাপতির পদে বহাল আছেন। এতোগুলো শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটার পরও তাদের লজ্জা হয়নি— তারা এখনও পদে বহাল আছেন। তার মধ্যে এখনও কোনো অনুশোচনা নেই; বরং তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মুজিব চেতনা প্রদর্শন করেন।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রক্টোরিয়াল বডি হস্তক্ষেপ করে এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে শহীদুল ইসলামকে ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক শহীদুল ইসলাম আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, তাই আমরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। তার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি এখন বিশ্রামের সময় চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলোচনা করা হবে।’