শীত মৌসুম শুরুর আগে বিভিন্ন ফসল রোপণে মনোযোগী হন আমাদের দেশের কৃষকেরা। টাটকা তরকারি, পুষ্টিযুক্ত সবজিতে ভরে ওঠে গ্রাম থেকে শহরের বাজারগুলো। ফুলকপি, বেগুন, সিম, মুলা, বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর, পালংশাক, লালশাকসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজির চারা রোপণ করা হয়েছে। কিন্তু শামুকের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজিগুলো।
ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বালিয়ে রাতের বেলায় চারা পাহারা দিচ্ছেন কৃষক। ছোট পাঁচন ও লাঠি দিয়ে শামুক তাড়াচ্ছেন। সবজির চারার ওপরে বসে শামুক তার সরু লম্বা মুখ দিয়ে পাতা মুড়িয়ে গিলে খাচ্ছে। রাত হলেই বাড়ে এর ব্যাপকতা, বিভিন্ন গর্ত বা ছায়াযুক্ত স্থান থেকে বের হয়ে আসে এগুলো। প্রথমে চারাগাছের নরম অংশ বা কচিপাতা এরপর মূলে এরা তাণ্ডব চালায়। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকরা শামুক নিধনের কাজ করছেন।
মানিকগঞ্জ এলাকার কৃষক জয়নাল মিয়া এ বছর ১০৫ শতক জমিতে ১৪ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। কয়েক দিনে তার পাঁচ শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এতে নতুন করে আবার চার টাকা দরে প্রতিটি চারা রোপণ করতে হয়েছে তাকে। এতে কৃষক জয়নালের লাভের মুখ দেখার আগেই অতিরিক্ত খরচে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সাভার এলাকার কৃষক সুমন দুই বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রতিদিন সকাল এবং রাতে ১৫—১৬ দিন ধরে শামুক নিধন করলেও দুই শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে ফেলেছে। নাইলনের জাল দিয়ে বেড়া দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিভাগক দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে সামনে ভুট্টার মৌসুমেও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবেন।
নাঈম ইবনে সালাম
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ