আবু বকর, ইবি থেকে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) জাতীয় সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহণে জুলাই গণহত্যা ও ইসকন সন্ত্রাসী কর্তৃক শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখপাড়া এলাকা ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে শেষ হয়।
উক্ত সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সমন্বয়কবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে দেশে বিভিন্ন উস্কানিমূলক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং কথিত ইসকন সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা নেওয়ার ও তা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু মুসা বলেন, ‘আমি ইউনূস সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিসদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ‘বঙ্গবন্ধু ফোরাম’ ও ‘শাপলা ফোরাম’ অংশগ্রহণ করে, তাহলে ছাত্র জনতা তাদের রুখে দিবে।’
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যখন ছাত্র জনতা পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে নামে, তখন তাদের সমর্থন দিয়ে আসছিল আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও এদেশের কিছু কচক্রীমহল। পতিত শেখ হাসিনা যখন কোথাও আশ্রয়ের জায়গা পাচ্ছিল না, তখন ভারত নামক একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তাকে আশ্রয় দিয়ে পুরো বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ৫ই আগস্টের তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভারত তাদের ইস্কন নামক যে সন্ত্রাসী সংগঠন আছে, তা সারা বাংলাদেশের ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা যখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা নিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আমাদের সামনে ও পিছনে ছিল। আমরা বৈষম্যর বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেভাবে সকল ধরনের বৈষম্য আমরা দূর করব।’