পাঠকবন্ধু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটিতে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান হাবিব ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাক আলীকে উপদেষ্টা করে আহসান হাবীব রানাকে সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
সংগঠনের কার্যনির্বাহী পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—সহ-সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ তাহমিদ ও মুমতাহিনা রিনি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাছান, আবিদ হাসান ইমতিয়াজ ও মামুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুর রহমান মাহিম, অর্থ সম্পাদক আবু বকর, দপ্তর সম্পাদক সঙ্গীত কুমার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল তামান্না, উপ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক রাইসা আমিন লস্কর, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবা শাহরীন নূপুর, সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাবিদ সরকার শাওন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিফতাহুল জান্নাত মিম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাহাত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা ইবাদ, বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক আফরিন জান্নাত ঝুমা, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অপু মিয়া। এছাড়াও কার্য-নির্বাহী সদস্যরা হলেন— হুমায়ুন কবির সরকার, রায়হান তালুকদার, আফতাব হোসাইন, আবু হানিফ পিয়াস ও আশিকুর রহমান।
নতুন কমিটির বিষয়ে সভাপতি আহসান হাবীব রানা বলেন, ‘আমাকে পাঠকবন্ধুর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচন করায় পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আশা করছি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় নিজেদের একদল সৃষ্টিশীল লেখক ও দক্ষ মানুষ তৈরিতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবো।’
সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘পাঠকবন্ধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। অর্পিত এই দায়িত্ব নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে পালন করে যাবার প্রতিজ্ঞা করছি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের জন্য কাজ করে যাব। আর সংগঠনকে আরো গতিশীল করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ‘পাঠকবন্ধু’র ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আজকের পত্রিকার পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীল ভাবনাকে লিখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করে। পাশাপাশি এটি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও নতুন প্রতিভা বিকাশে কাজ করছে। তরুণদের এই উদ্যোগ তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে প্রসারিত করার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।