পিঠার রানী হেমন্ত: হেমন্তকে ‘পিঠার’ রানী বলা হয় কারণ,হেমন্তে মাঠে ঘাটে ধান পাকে। কৃষকেরা পাকা ধান বাড়িতে তুলে। নতুন ধানের পিঠা খেতে অনেক মজা। গ্রাম গাঁয়ে নবান্নের আগমনে নতুন ধানের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
গ্রামের হেমন্তে শুরু হয় পিঠে খাওয়ার উৎসব। শীত ভরে চলবে খেজুর রসের ভিজানো পিঠা, ভাপা পিঠা পুলি পিঠা। পিঠার রানী হেমন্ত এবং শীত এই দুই ঋতু ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি হবে, প্রত্যেকে প্রত্যেককে দিয়ে খাবে। গ্রামে এখনো এই পিঠা বানানোর মিলন মেলা আছে, যা শহরে নেই। তাই শহরে মানুষ পিঠা খেতে গ্রামে উড়ে যায় ছুটে আসে।
পল্লী গাঁয়ের মায়ার বাঁধন যেন পিঠার উৎসব। খেজুর গাছের রস, পাখিদের সুমধুর গান, সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের বিন্দু কণা, গ্রামের সবুজ শ্যামল গালিচা ঢাকা এঁকেবেঁকে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হাটা সব যেন অতীত শৈশব স্মৃতি খুঁজে পায়। তাই শহর থেকে গ্রামে মানুষ ছুটে আসে জন্মভূমির টানে।
হেমন্ত শীতে গুড় দিয়ে মুড়ি খাওয়া এ যেন পল্লী মায়ের আঁচলে বাঁধা গভীর বন্ধনে হারিয়ে যাওয়া। হেমন্তে আকাশ ঘোমটা পড়ে কেমন যেন অন্ধকার হয়ে থাকে।সূর্যের আলোর তেমন দেখা মেলে না শিশির বিন্দু হালকা হালকা পরে দুব্বা ঘাসে। শীতের ঋতু কুয়াশায় থাকবে ঢাকা। রোদ্দুরের হবে না দেখা। তবুও মানুষকে চলতে হবে পথে জীবিকার জন্য। বাঁধবে না কোন বারণ ছয় ঋতুর একই ধরণ। বারো মাসের ছয় ঋতু ঘুরেফিরে আসা-যাওয়া করে। হেমন্ত হচ্ছে ঋতুর রানী।