‘সৃষ্টি’ সবসময়ই আনন্দের। আর সে সৃষ্টি যদি হয় মানব কল্যাণধর্মী; তবে সেটা মহানন্দের। শিক্ষকতা করেছি দীর্ঘদিন। সময়-সুযোগ পেলেই শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে লেখালেখি করেছি পত্র-পত্রিকায় । মানসম্মত লেখা পড়ার আনন্দও আলাদা।
তরুণ, যুবক ও সৃজনশীলদের প্রতি বরাবরই আমার আগ্রহ একটু বেশিই। এদের দিয়েই দেশ-সমাজ-জাতি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। সকল তরুণ-তরুণীকেই আমার নিজের সন্তানতুল্য বলে মনে করি।
তরুণপ্রজন্মকে সাথে নিয়ে বহুমুখী কাজের আগ্রহ আমার বরাবরের। অবসর পরবর্তী সময়ে পত্র-পত্রিকা, লেখালেখি ও এ সংক্রান্ত বিষয়াবলী নিয়ে কাজ করার ফুরসত মিলেছে। লব্ধ জ্ঞান-অভিজ্ঞতার আলোকে তরুণ প্রজন্মকে মূলধারার গণমাধ্যমে সম্পৃক্ত করার আবশ্যকতা উপলব্ধি করি। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু হল ‘মূলধারা’র। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রবেশ করলো ‘মূলধারা’। মূলধারা-‘সবার কথা বলে।’ দেশের মৌলিক মুখপাত্র ও সার্বজনীন মৌলিক হাতচিঠি হিসেবে সর্বস্তরের জনতার কথা তুলে ধরার প্রয়াস-ই হবে মূলধারা’র লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শ।
এক ঝাক তরুণ-তরুণীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ‘মূলধারা’। বিজয়ের মাসে মূলধারা’র সাথে সংশ্লিষ্ট সকল নীতি-নির্ধারক, উপদেষ্টা, পৃষ্ঠপোষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেশব্যাপী মূলধারা’র সকল ইউনিটের প্রতিনিধি-সাংবাদিকের সম্মিলিত প্রয়াসকে পুঁজি করে মূলধারা’র যাত্রা শুরু হল।
‘মূলধারা’-কে নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। দেশের মঙ্গলকামী সকল মানুষের সুপরামর্শ হবে মূলধারা’র পথচলার মূলমন্ত্র। আশা করতেই পারি- আমার সন্তানেরা তাদের লেখনী, সাহসিকতা, সততা, নিষ্ঠা ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রমাণ করবে- ‘পত্রিকা-ই সমাজের দর্পন এবং সে দর্পন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।’
বেশ কয়েকজন মেধাবী তরুণ-তরুণীকে সাথে নিয়ে কাজটি আমি শুরু করলাম। চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নেবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে সকল সংকীর্ণতাকে পাশ কাটিয়ে ‘মূলধারা’ তার আপন আদর্শে বেগবান থাকবে- এটাই প্রত্যাশা রইলো।
লেখক: প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতি, আরবিটিএ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক, মূলধারা।