‘মূলধারা’ নামটির মধ্যে একটা নিজস্ব মেসেজ আছে। শব্দটিতে স্নিদ্ধতা, মাদকতা, পবিত্রতা, সততার একটা প্রবল আকর্ষণ আছে। নামটি নিজেই যেন তার গুণমান জানান দেয়।
মূল হচ্ছে আসল যা থেকে সৃষ্টি হয়। মূল হচ্ছে যা নিজের জন্ম রহস্য জানান দেয়। মূল হচ্ছে প্রকৃত যা নকল নয়। মূল হচ্ছে যাতে সৃষ্টির আনন্দ- বেদনা আছে। মূলের নেতিবাচক শব্দ নির্মূল। মূলকে নির্মূল করলে ক্ষতচিহ্ন ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। মূল হচ্ছে শেকড়।
বর্তমান সভ্যতা শেকড়ের সন্ধানে ধাবমান। মূলের একটা গতি আছে, নিজস্ব ধারা আছে যা হারালে মূল আর মূল থাকে না। ‘ধারা’ হচ্ছে প্রকাশমানতা যা একান্তই মূলের নিজস্বতা। নিজস্বতা হারালে সেখানে বিকৃতি এসে বাসা বাঁধে। বিকৃত শব্দের মধ্যেই এর কুৎসিত চেহারা ফুটে ওঠে। বিকৃত মানেই খারাপ রুচির কিছু। মূলধারা’র বাইরে গেলই বিকৃতি মানুষকে আলিঙ্গন করবে। বিকৃতি সর্বদা নোংরা, দূর্গন্ধময় ও সর্বজন পরিত্যাজ্য।
আসুন, মূলধারা-কে সম্মান করি, বিকাশমান পৃথিবীকে মানবিক ও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার মিছিলে সামিল হই। মূল এবং সত্যতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একে অন্যের পরিপুরক। মূলকে আলিঙ্গন করুণ সততা আপনার হৃদয়ে অটো প্রবেশ করে স্নিগ্ধতার সুবাস ছড়াবে। এ পৃথিবী হয়ে উঠবে আপনার মনের মতো সুন্দর নান্দনিক আবাসস্থল।
লেখক: প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতি, আরবিটিএ। প্রধান পৃষ্ঠপোষক, মূলধারা।