রংপুরে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’ উন্মোচিত হয়েছে। বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবসে তার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’ এর উন্মোচনা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টায় রংপুর নগরীর শালবন ইন্দ্রা মোড়ে ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়।
ভাস্কর অনীক রেজা জানান, এই ভাস্কর্যের প্রাথমিক কাজ তার পীরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে শুরু করেছিলেন। ওই সময় দুই দফায় কে বা কারা তার অনুপস্থিতিতে তা ভেঙে ফেলে। এতে তিনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হন। একারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর শালবন ইন্দ্রা মোড়ে রোকেয়ার ‘আলোক বর্তিকা’ ভাস্কর্যটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রয়াত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। এরপর ধীরগতিতে চলা নির্মাণ কাজ হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। মাটি থেকে শুধু উঁচু বেদি তৈরির পরে কয়েকটি ইটের পিলার ছাড়া তখন আর কিছুই ছিল না। অযত্ন- অবহেলায় পড়ে থাকা বেদিটি ভরে ছিল ধুলোবালি আর বিভিন্ন ফেস্টুন পোস্টারে। মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সেই বেদিটি দেখে হতাশ হয়েছিল স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন মহল থেকে তখন ওই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জোরালো হয়ে উঠে। অবশেষে বছর তিনেক বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয় নির্মাণ কাজ।
পাথরের ভিতর থেকে সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার এই ভাস্কর্যটিতে জন্ম-মৃত্যু সন উল্লেখসহ তার লেখা কিছু বই ও বাণী রয়েছে। যার মধ্যে অবরোধবাসিনী, মতিচুর, পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্নসহ কিছু বইয়ের পাথররুপ নজর কাড়বে। এছাড়া ভাস্কর্যটির চারপাশে লাইটও লাগানো হয়েছে।
‘আলোকবর্তিকা’ ভাস্কর্যটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে। এটির উচ্চতা মাটি থেকে ২০ ফুট।